আজকের যুগে একদিকে যেমন বাড়ছে প্রত্যেক মানুষের ব্যস্ততা অপরদিকে তেমনি দ্রুত বদল হচ্ছে আর্থ সামাজিক পরিস্হিতি। যৌথ পরিবার ভেঙে হচ্ছে ছোটো ছোটো নিউক্লিয়ার পরিবার। আর এই পরিস্হিতির যঁাতা কলে পরে সব থেকে বেশি পিষ্ট হচ্ছেন বয়স্ক ব্যক্তিরা (সিনিয়ার সিটিজেন)। তাদের সুরাহার একটা ব্যবস্হার কথা বলব।
ধরাযাক, কোনো বয়স্ক ব্যক্তির ( বয়স নূনতম ৬০ বছর) নিজস্ব বসবাসের বাড়ী আছে, তার সন্তানেরা হয়তো যেকোনো কারনেই হোক দেখাশুনা করছে না, তাহলে তিনি তার ঐ বসবাসের বাড়িটি ব্যাঙ্কে মর্টগেজ রেখে প্রতি মাসের খরছের টাকা পেতে পারেন। এই পদ্ধিটিকে বলা হয় রীভার্স মর্টগেজ। অর্থাৎ এটি লোনের ঠিক উল্টো।
ধরাযাক, আপনার ঐ বাড়ীটির মুল্য ব্যাঙ্ক হিসাব করল (বর্তমান বাজার মুল্য অনুযায়ী) ১ কোটি টাকা। আপনি তাহলে সর্বাধিক ৬০% অর্থাৎ ৬০ লাখ টাকা লোন পেতে পারেন। চুক্তির প্রথমেই আপনি পাবেন প্রপারটি মুল্যের ১৫% অথবা ১৫ লাখ টাকা যেটি কম, এখেত্রে আপনি পাবেন ১৫ লাখ টাকা। তার পর বাকি ৪৫ লাখ টাকাটি ব্যাঙ্ক আপনাকে প্রতি মাসে মসে দিতে থাকবে। সর্বাধিক ২০ বছর আপনি এই ভাবে মাসে মাসে টাকা পেতে থাকবেন। এর মধ্যে যদি কোনো কারনে আপনার মৃত্যুও হয় তহলে আপনার কোপার্টনার ঐ বাড়ীতে থাকতে পারবেন এবং মাসে মাসে ঐ টকা পেতে থাকবেন। চুক্তি শেষ হয়ে গেলেও আপনার কোপার্টনার তার পুরো জীবনকাল ঐ বাড়ীটিতে থেকে যেতে পারবেন।
এই মাসে মাসে পাওনা টাকা পুরোপুরি করমুক্ত। এই মাসে মাসে পাওনা টাকাটি আপনি ফ্লোটিং অথবা ফিক্সড যেকোনো রেটেই নিতে পারেন। আপনি বা আপনার সন্তানরা চাইলে এই চুক্তি সময় ২০ বছরের মধ্যে বা ২০ বছরের পরেও ব্যাঙ্ককে সুদ সহ সমস্ত পাওনা মিটিয়ে দিয়ে বাড়ীর মালিকানা নিয়ে নিতে পারেন। না হলে ব্যাঙ্ক বাড়ীটি বিক্রী করে নিজেদের পওনা বুঝে নেওয়ার পর বাকি অর্থ আইন সঙ্গত উত্তরাধিকারীকে দিয়ে দেবে।
এই মধ্যবর্তি সময়ে যদি আপনার বাড়ীর ভ্যালুয়েসন বেড়েছে বলে আপনি মনে করেন তহলে ব্যাঙ্ক আপনাকে এককালীন অর্থ প্রদান করে তা দিয়ে দেবে। ৫ বছর অন্তর এই পুনরমূল্যায়নের কাজটি করা হয়ে থাকে।
এই কনসেপটটি তুলনায় নতুন। যদিও ২০০৭-০৮ সালে এই আইনটি চালু হয়। প্রচারের অভাবে এটি জনপ্রিয়তা পায় নি। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক বিভিন্ন রেটে এই টাকা দিচ্ছে। চুক্তি করার পূর্বে যাচাই করে নেওয়া প্রয়োজন।