ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় মানুষের বিশ্বাস যে 4th Century AD তে সোমনাথ Temple তৈরী হয়েছিলো। সেই সময় কোনো রকম Bank ছিলো না। তখন মানুষ তাদের Savings মানে সোনা, গহনা সব রেখে দিতো ঐ সোমনাথ মন্দিরে। ঐ সময়ে তাদের বিশ্বাস ছিলো ঠাকুরের মন্দির থেকে কেউ কখনো চুরি করবে না। সত্যি বলতে কি চুরিও হতো না। কারন কারুর তখন সাহসই ছিলো না মন্দিরের ভিতরে ঢুকে চুরি করার।এই ভাবে ধীরে ধীরে মানুষের মনেও বিশ্বাস জন্মে গেল যে মন্দির মানে Safe Place। আনুমানিক প্রায় 600 বছর এই বিশ্বসের ওপরই এইভাবেই চলছিলো।
তারপর 11th Century তে গজনীর সুলতান প্রথম এই মন্দির লুট করে সব গহনা ও টাকা পয়সা নিয়ে চলে যায় তার দেশে। তারপর বিভিন্ন দেশের সুলতানরা বিভিন্ন সময়ে তৎকালীন মন্দিরগুলোকে ( সোমনাথ মন্দির সহ ) লুট করে মানুষদের সর্বশান্ত করে দেয়। একা সোমনাথ মন্দিরই 17 বার লুণ্ঠিত হয়। কিন্তু দেখা গেছে তারপরেও আবার মানুষরাই ঐ মন্দিরেই তাদের সব সম্পদ রখত। এটাই হলো Mindset বা Biasness। Behavioral Researcher রা এটাকে বলেন Cognitive Bias.
এই Bias ধারনায় যখন কেউ তার অজান্তেই আক্রান্ত হন তখন তিনি তাঁর অজান্তেই এই বিশ্বাসে আবদ্ধ হয়ে যান যে মন্দির Safe Place, ঠাকুরের পূজোয় কোনো খামতি হওয়ায় ঐ চুরি হয়েছে, “মন্দির Safe Place” । তাদের পূর্বপুরুষরা যেটা বিশ্বাস করতেন তাতে কোনো ভুল ছিল না। প্রথম বার, দ্বিতীয় বার, তৃতীয় বার এই ভবে বার বার লুঠ হওয়ার পরেও বেশির ভাগ মানুষ যারা ঐ Biasness এ আক্রান্ত ছিলেন তারা কেউ কোনো Alternative খোঁজেন নি। কিছু ব্যক্তি পরে শুরু করলেন মাটির তলায় সব সম্পদ পুঁতে রাখা।
একইভবে বিভিন্ন গজনীর সুলতানরা আজ বিভিন্ন ছদ্মনামে যেমন- “Nirav Modi”, “Vijay Malia” প্রভৃতি নাম নিয়ে মন্দিরের যায়গায় Bank লুঠ করছে। ঐ সময়ে যেমন মন্দির লুঠ করার পর তারা আবার বিদেশে পালিয়ে যেত আজ এরাও ঠিক তাইই করছে। তখন তো সোমনাথ মন্দির 17 বার লুঠ হয়েছিলো, আজ আমরা জানিও না এর আগে Bank এরকম কতবার লুঠ হয়েছে। তবু আজও বহু মানুষের বব্ধমূল ধরনা Bank এ থাকা টাকা মানে গচ্ছিত টাকা এবং Safe। মাথায় রাখতে হবে 1 লাখ টাকা পর্য্যন্তই Safe।
আমার অনুরোধ Alternative Option গুলো Bias Free হয়ে বিচার করে দেখে তবে সিদ্ধান্ত নিন।
আপনাদের মতামত জানতে পারলে ভলো লাগবে।
3 thoughts on “Why People Feel Bank FD & Bank Are Safer Options [In Bengali]”
পড়ে খুবই ভালো লাগলো , এরকম লেখা চালিয়ে যান । ধন্যবাদ
Bah! Very good comparison. Thanks dada
ব্যাঙ্ক ছাড়া অন্যান্য উপায়গুলো ঊহ্য রেখেছেন। ব্যাঙ্কে টাকা রাখার প্রধান কারণ টাকা তোলার সুবিধা। সাধারণ লোকে এতদিনের ব্যাবহারে এতটাই অভ্যস্ত হয়ে গেছে যে যেকোনো অশিক্ষিত ব্যক্তিও ব্যাঙ্কে গিয়ে টাকা পেতে পারে অথবা সহজেই হালের মেশিন মারফৎও । কিন্তু অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোতে ব্যাপারটা এত সহজ সাধ্য নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একজন মধ্যস্হতাকারীর প্রয়োজন হয় পেয়ালা আর ঠোঁটের মধ্যে যোগসূত্র হিসেবে। তাছাড়া নিয়মানুগ নানা বিধিনিষেধের বেড়াজালে একজন সাধারণ বিনিয়োগ কারীর আবদ্ধ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা সম্যক । তারপর অন্যান্য ক্ষেত্রে সময়ানুযায়ী আসল মূলধনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে বা বাজারসাপেক্ষের ঝুঁকি বহন করতে হতে পারে। সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে সেই ভয়ভীতিটাও অনস্বীকার্য নয়। আর ব্যাঙ্কের আমানত চিরকালীনই একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ বীমাকৃত , তবে এ পর্য্যন্ত সাম্প্রতিককালে অনেকগুলো ব্যাঙ্কই দুরবস্হার কারণে অন্যের কাছে সমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছে এবং আমানতকারীদের কোন আর্থিক ক্ষতি বহন করতে হয়নি। বর্ত্তমানে নবতম অজাত বিলের ব্যাপারে আমাদের সিঁদুরে মেঘ দেখা খুবই সঙ্গত। সেক্ষেত্রে আপনার অকথিত রাস্তাটিও যে ভবিষ্যতে বিপদসঙ্কুল হয়ে উঠবে না তারইবা নিশ্চয়তা কোথায় , যার একটি নমুনা এই বছরের সরকারী আয় – ব্যায়ের হিসেবেই প্রদর্শিত। প্রকৃতপক্ষে জনসাধারণ সবসময়ই ” শয়তানের বিকল্পতা ” তে আক্রান্ত , কোনো বিকল্পতেই আমরা অবধ্য নই ।